নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ রাজধানীর বনানী থানায় মাদক আইনের মামলায় ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম বিপুকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার পরীমনিকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানের সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তার বাসা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮টা ৪৫ মিনিটে গাড়ি কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে পৌঁছায়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব। পরীমনির বাসায় অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়েছে। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র্যাব সদর দফতর থেকে পরীমনি, রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে বনানী থানায় রওনা দেয় র্যাবের একটি টিম।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলায় দায়ের করেন৷
মামলার সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি মিনি বার তৈরি করেন। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টির আয়োজন করতেন। আর চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরো অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের সরবরাহ করতো এবং পার্টিতে অংশ নিতো। পরীমনি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এপর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও ৫ বা ৭টি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। প্রযোজক রাজ তাকে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় সিনেমা জগতে নিয়ে আসেন।